logo
ads

ইসরায়েলের ৫৯টি সামরিক অপারেশন ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক প্রতীকবাদের গভীর প্রভাব

নিপুণ চন্দ্র

প্রকাশকাল: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৩ পি.এম
ইসরায়েলের ৫৯টি সামরিক অপারেশন ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক প্রতীকবাদের গভীর প্রভাব

সংগৃহীত

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এর সামরিক অপারেশনগুলোর নামকরণে ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক প্রতীকবাদের গভীর প্রভাব লক্ষণীয়। তাওরাত (টোরাহ) থেকে উদ্ভূত নামগুলো, যেমন অপারেশন নাখশন, হোরেভ বা বাশান, ইহুদি ঐতিহ্য, বিজয়ের কাহিনী এবং ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ভূমির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এই নামকরণ শুধুমাত্র সামরিক কৌশলের কোড নয়, বরং সৈন্য ও জনগণের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতি ও জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আইডিএফের এই ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার তাদের অপারেশনগুলোকে কেবল সামরিক লক্ষ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না, বরং ইহুদি পরিচয় ও ইতিহাসের সঙ্গে একটি আধ্যাত্মিক সংযোগ স্থাপন করে। এই প্রতিবেদনে আমরা আইডিএফের অপারেশনগুলোর নামকরণের পেছনে ধর্মীয় অনুভূতির প্রভাব এবং এর মাধ্যমে কীভাবে সৈন্যদের মনোবল ও জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী হয়, তা বিশ্লেষণ করব।
ইসরায়েলের স্বাধীনতা (১৯৪৮) পরবর্তী সময়কালে পরিচালিত সামরিক অপারেশনগুলো আরব-ইসরায়েল সংঘাতের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নীচে প্রত্যেক অপারেশনের জন্য একটি অনুচ্ছেদাকার বর্ণনা দেওয়া হলো, যাতে সময়/সাল, স্থান, মূল ঘটনাবলী, ইসরায়েলের সফলতা/প্রাপ্তি, নামকরণের কারণ ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং তাওরাত (টোরাহ) থেকে নেওয়া নামের ক্ষেত্রে তার তাওরাত-বর্ণিত অর্থ/কাহিনী অন্তর্ভুক্ত। তথ্যসূত্রগুলো উইকিপিডিয়া, জুইশ ভার্চুয়াল লাইব্রেরি, ব্রিটানিকা এবং অন্যান্য নির্ভরযোগ্য অনলাইন সূত্র থেকে সংগৃহীত। কিছু অপারেশনের নাম তাওরাত থেকে নেওয়া, যা ইসরায়েলি সামরিক ঐতিহ্যে ধর্মীয় প্রতীকী অর্থ বহন করে।
১. অপারেশন নাখশন (Operation Nachshon): এটি ১৯৪৮ সালের এপ্রিল মাসে (৫-১৬ এপ্রিল) পরিচালিত হয়, স্থান ছিল ম্যান্ডেটরি প্যালেস্টাইনের তেল আভিভ-জেরুসালেম রাস্তা এবং ল্যাটরুন অঞ্চল। মূল ঘটনাবলী ছিল হাগানাহ বাহিনীর আক্রমণ, যাতে আরব ব্লকেড ভাঙার জন্য গ্রামগুলো (যেমন কাস্তেল, হুলদা) দখল করা হয় এবং সরবরাহ কনভয় পাঠানো হয়; এটি প্ল্যান ডালেটের প্রথম বড় অপারেশন ছিল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল জেরুসালেমের ইহুদি জনগোষ্ঠীকে অস্ত্র ও খাদ্য সরবরাহ করা, যদিও রাস্তা পুরোপুরি খোলা যায়নি (বার্মা রোড বাইপাস তৈরি হয়)। নামকরণের কারণ ছিল সাহসের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এটি ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের শেষ দিনগুলোতে আরব আক্রমণের প্রতিরোধে শুরু হয়। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: নাখশন বেন আমিনাদাব (যাত্রা ৭:১২) ছিলেন যিনি লোহিত সাগরে প্রথম লাফ দিয়ে ইহুদিদের মিশর থেকে মুক্তির পথ দেখান, যা সাহস ও নেতৃত্বের প্রতীক।
২. অপারেশন কাস্ট থাই ব্রেড (Operation Cast Thy Bread): ১৯৪৮ সালে পরিচালিত, স্থান ছিল প্যালেস্টাইনের আরব এলাকা (জাফা ও অন্যান্য গ্রাম)। মূল ঘটনাবলী ছিল জৈব অস্ত্র ব্যবহার করে টাইফয়েড জীবাণু ছড়ানোর গোপন অভিযান, যাতে কূপ ও খাদ্যসরবরাহ দূষিত করা হয়। ইসরায়েলের সফলতা ছিল আরব জনগোষ্ঠীতে রোগ ছড়িয়ে তাদের লড়াইয়োগ্যতা কমানো, যদিও এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত। নামকরণের কারণ ছিল ধর্মীয় প্রতীকী, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ যুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে ইহুদি বসতি রক্ষার জন্য। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: প্রসঙ্গাবলী ১১:১ ("তোমার রুটি ছড়াও, পরে পাবে") যা দানশীলতা ও ফিরে পাওয়ার অর্থ বহন করে, কিন্তু এখানে বিদ্রূপাত্মকভাবে ব্যবহৃত।
৩. অপারেশন হামেটজ (Operation Hametz): ১৯৪৮ সালের ২৫-৩০ এপ্রিল, স্থান ছিল জাফা শহরের চারপাশের গ্রাম (যেমন সালামা, বিদায়া)। মূল ঘটনাবলী ছিল হাগানাহ ও ইর্গুনের যৌথ আক্রমণে গ্রাম দখল এবং জাফা অবরোধ, যাতে ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হয়। ইসরায়েলের সফলতা ছিল জাফা দখল করে স্থলসীমান্ত নিরাপদ করা এবং ১৫,০০০ আরবকে বাস্তুচ্যুত করা। নামকরণের কারণ ছিল পাসওভার উৎসবে চামেটজ (খামিরযুক্ত খাদ্য) অপসারণের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে প্ল্যান ডালেটের অংশ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: নির্গমন ১২:১৫-২০-এ পাসওভারে চামেটজ অপসারণের নির্দেশ, যা অশুদ্ধতা দূরীকরণের অর্থ বহন করে।
৪. অপারেশন ইয়েভুসি (Operation Yevusi): ১৯৪৮ সালের ২২ এপ্রিল-৩ মে, স্থান ছিল জেরুসালেমের পূর্বাঞ্চল এবং নাবি সামুইল পর্বত। মূল ঘটনাবলী ছিল পালমাখ বাহিনীর আক্রমণে শেখ জারাহ দখল এবং আরব লেজিয়নের সাথে যুদ্ধ, যাতে ৪০ আরব নিহত হয়। ইসরায়েলের সফলতা ছিল জেরুসালেমের কেন্দ্রীয় অংশ নিয়ন্ত্রণ এবং ব্রিটিশ অবরোধ ভাঙা। নামকরণের কারণ ছিল প্রাচীন যেবুসাইট জাতির বিরুদ্ধে ইহুদি বিজয়ের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জেরুসালেম অবরোধ ভাঙার জন্য। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: যিহোশূয় ১৮:১৬-এ যেবুসাইটদের (জেরুসালেমের আসল বাসিন্দা) পরাজয়ের কাহিনী, যা বিজয়ের অর্থ বহন করে।
৫. অপারেশন কিলশন (Operation Kilshon): ১৯৪৮ সালের ১৩-১৮ মে, স্থান ছিল জেরুসালেমের বিভিন্ন জেলা (তালবিয়া, বেভিংগ্র্যাড)। মূল ঘটনাবলী ছিল হাগানাহ ও ইর্গুনের আক্রমণে ব্রিটিশ অবস্থাপনা দখল এবং ইহুদি জেলা একীভূত করা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল জেরুসালেমের ইহুদি অংশ নিয়ন্ত্রণ এবং ব্রিটিশ প্রত্যাহারের সুযোগ নেওয়া। নামকরণের কারণ ছিল ফাঁদ পাতার প্রতীক (কিলশন মানে পিচফর্ক), ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ম্যান্ডেটের শেষ দিনে। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়, কিন্তু কৃষি প্রতীকী।
৬. অপারেশন ইফতাহ (Operation Yiftah): ১৯৪৮ সালের মে মাস, স্থান ছিল উত্তর গ্যালিলির ইহুদি বসতি। মূল ঘটনাবলী ছিল হাগানাহর আক্রমণে আরব লিবারেশন আর্মির প্রতিরোধ ভাঙা এবং গ্রাম দখল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল গ্যালিলি নিরাপদ করে আরব আক্রমণ রোধ। নামকরণের কারণ ছিল বিজয়ের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে প্ল্যান ডালেট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: বিচারক ১১:১-৪০-এ ইফতাহের কন্যা বলির কাহিনী, যা প্রতিজ্ঞা ও বিজয়ের অর্থ বহন করে।
৭. অপারেশন বেন-আমি (Operation Ben-'Ami): ১৯৪৮ সালের মে, স্থান ছিল গ্যালিলি উপকূল এবং শাওয়ুলি অঞ্চল। মূল ঘটনাবলী ছিল হাগানাহর আক্রমণে আরব বাহিনী সরানো এবং বসতি রক্ষা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল উত্তর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ। নামকরণের কারণ ছিল জাতীয়তাবাদী প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আরব আক্রমণ প্রতিরোধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: নাখশন বেন-আমি (যাত্রা ১:৭) যিনি ইহুদি গোত্রের নেতা, পিতৃতান্ত্রিক অর্থ বহন করে।
৮. অপারেশন ডানি (Operation Dani): ১৯৪৮ সালের জুলাই (৯-১৯), স্থান ছিল লোড এবং রামলা শহর। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি অফেনসিভে আরব লেজিয়নের সাথে যুদ্ধ এবং শহর দখল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল জেরুসালেম করিডর নিরাপদ করা এবং ৫০,০০০ আরবকে বাস্তুচ্যুত করা। নামকরণের কারণ ছিল নিহত সেনা ড্যানি ম্যাসের স্মৃতিতে, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে প্রথম যুদ্ধবিরতির পর। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: দান গোত্র (উত্পত্তি ৩০:৬), যা বিচারের অর্থ বহন করে।
৯. অপারেশন ডেকেল (Operation Dekel): ১৯৪৮ সালের জুলাই (৮-১৮), স্থান ছিল নিম্ন গ্যালিলি এবং নাজারেথ। মূল ঘটনাবলী ছিল ৭ম আর্মার্ড ব্রিগেডের আক্রমণে আরব লিবারেশন আর্মির পরাজয় এবং শহর দখল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল নাজারেথ অধিকার এবং গ্যালিলি নিয়ন্ত্রণ। নামকরণের কারণ ছিল প্রাকৃতিক প্রতীক (তালগাছ), ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতির পর অফেনসিভ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়, কিন্তু প্রতীকী শক্তির অর্থ।
১০. অপারেশন ইয়োয়াভ (Operation Yoav): ১৯৪৮ সালের অক্টোবর, স্থান ছিল নেগেভ মরুভূমি এবং গাজা। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি আকর্মণে মিশরীয় বাহিনীর অবরোধ ভাঙা এবং ফোর্ট দখল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ এবং মিশরীয় অগ্রসর রোধ। নামকরণের কারণ ছিল নেতৃত্বের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় যুদ্ধ পর্যায়। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: ইয়োয়াভ বেন-জেরুয়া (২ শমূয়েল ২:১৩), দাউদের সেনাপতি, যুদ্ধকৌশলের অর্থ বহন করে।
১১. অপারেশন হিরাম (Operation Hiram): ১৯৪৮ সালের অক্টোবর (২২-৩১), স্থান ছিল উচ্চ গ্যালিলি এবং লেবানন সীমান্ত। মূল ঘটনাবলী ছিল কার্মেলি ব্রিগেডের দ্রুত অগ্রসরে আরব লিবারেশন আর্মির পরাজয় এবং ১৩টি লেবাননি গ্রাম দখল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল গ্যালিলি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং লিটানি নদী পর্যন্ত অগ্রসর। নামকরণের কারণ ছিল ঐতিহাসিক নেতার স্মৃতিতে, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আরব আক্রমণ রোধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: হিরাম রাজা (১ রাজাদের ৫:১), যিনি সোলমনের মন্দির নির্মাণে সাহায্য করেন, মিত্রতার অর্থ বহন করে।
১২. অপারেশন হা-হার (Operation Ha-Har): ১৯৪৮ সালের অক্টোবর-নভেম্বর, স্থান ছিল জেরুসালেম করিডর এবং বেইত নাতিফ। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি আক্রমণে আরব পজিশন দখল এবং করিডর নিরাপদ করা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল জেরুসালেমের সংযোগ স্থাপন। নামকরণের কারণ ছিল ভৌগোলিক (পাহাড়), ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের শেষ পর্যায়। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: "হা-হার" মানে "পাহাড়", যেমন সিনাইয়ের পাহাড় (নির্গমন ১৯:২), ধর্মীয় উচ্চতার অর্থ।
১৩. অপারেশন অন-ফার (Operation An-Far): ১৯৪৮ সালের নভেম্বর, স্থান ছিল দক্ষিণ প্যালেস্টাইনের গ্রাম (যেমন বেইত আফিফা)। মূল ঘটনাবলী ছিল হাগানাহর আক্রমণে মিশরীয় অগ্রগতি রোধ এবং গ্রাম দখল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল দক্ষিণ সীমান্ত নিরাপদ করা। নামকরণের কারণ ছিল গোপনীয়তা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মিশরীয় আক্রমণ প্রতিরোধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
১৪. অপারেশন ডেথ টু দ্য ইনভেডার (Operation Death to the Invader): ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বর, স্থান ছিল গাজা এবং সিনাই। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি ঘেরাওয়ায় মিশরীয় বাহিনীকে আটকা ফেলা এবং গাজা দখল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল মিশরীয় সৈন্য ৪০০ নিহত করে যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত করা। নামকরণের কারণ ছিল আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের সমাপ্তি। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়, কিন্তু প্রতিরক্ষামূলক।
১৫. অপারেশন হোরেভ (Operation Horev): ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বর-১৯৪৯ জানুয়ারি, স্থান ছিল গাজা, সিনাই এবং নেগেভ। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি অফেনসিভে মিশরীয় বাহিনীকে পশ্চাদপসরণে বাধ্য করা এবং ফোর্ট দখল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল মিশরীয় হুমকি দূর করে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর। নামকরণের কারণ ছিল ধ্বংসের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের শেষ অভিযান। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: হোরেভ পাহাড় (নির্গমন ৩:১), যেখানে মোশির সাথে ঈশ্বরের কথোপকথন, ধর্মীয় শক্তির অর্থ।
১৬. অপারেশন শমোন (Operation Shmone): ১৯৪৮ সালের নভেম্বর, স্থান ছিল ইরাক সুয়াইদান ফোর্ট। মূল ঘটনাবলী ছিল বোমা হামলা এবং আর্মড অ্যাসল্টে মিশরীয় ফোর্ট দখল, যা আগে ৮ বার ব্যর্থ হয়েছিল। ইসরায়েলের সফলতা ছিল ফোর্ট অধিকার এবং নেগেভ পথ খোলা। নামকরণের কারণ ছিল সংখ্যা ৮-এর প্রতীক (অনন্ততা), ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের মধ্যভাগ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
১৭. অপারেশন উভদা (Operation Uvda): ১৯৪৯ সালের মার্চ, স্থান ছিল নেগেভের দক্ষিণাংশ এবং উম্ম রশরশ (এলাত)। মূল ঘটনাবলী ছিল গোপন অভিযানে মরুভূমি দখল এবং জর্ডান সীমান্ত নিরাপদ করা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল এলাত বন্দর স্থাপন এবং দক্ষিণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ। নামকরণের কারণ ছিল "কাজ" এর অর্থ, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের শেষ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: "উভদা" মানে কাজ (নির্গমন ২০:৯), শ্রমের ধর্মীয় মূল্য।
১৮. রিট্রিবিউশন অপারেশনস (Retribution Operations): ১৯৫১-১৯৫৬ সাল, স্থান ছিল জর্ডান এবং মিশরের ফেদায়িন ঘাঁটি। মূল ঘটনাবলী ছিল সিরিজ হামলায় ফেদায়িন ক্যাম্প ধ্বংস এবং প্রতিশোধমূলক আক্রমণ। ইসরায়েলের সফলতা ছিল সীমান্ত হামলা কমানো এবং নিরাপত্তা বাড়ানো। নামকরণের কারণ ছিল প্রতিশোধের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ১৯৫০-এর দশকের সীমান্ত সংকট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
১৯. অপারেশন কাদেশ (Operation Kadesh): ১৯৫৬ সালের অক্টোবর-নভেম্বর (২৯ অক্টোবর-৬ নভেম্বর), স্থান ছিল সিনাই উপদ্বীপ। মূল ঘটনাবলী ছিল আর্মার্ড থ্রাস্টে মিশরীয় বাহিনীকে পরাজিত করা এবং সুয়েজ খাল অবরোধ ভাঙা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল সিনাই দখল এবং মিশরীয় হুমকি কমানো, যদিও জাতিসংঘের চাপে প্রত্যাহার। নামকরণের কারণ ছিল পবিত্রতার প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সুয়েজ সংকট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: কাদেশ-বার্নিয়া (গণনা ২০:১), যেখানে মোশির অস্ত্রোপচার, পবিত্র স্থানের অর্থ।
২০. ওয়ার ওভার ওয়াটার (War over Water): ১৯৬৪-১৯৬৭ সাল, স্থান ছিল জর্ডান নদী এবং গোলান হাইটস। মূল ঘটনাবলী ছিল সিরিয়া ও লেবাননের জল প্রকল্পের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শেলিং এবং বিমান হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল জল নিয়ন্ত্রণ এবং প্রকল্প বন্ধ করা। নামকরণের কারণ ছিল সংকটের বর্ণনা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জল বিতরণ বিরোধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
২১. অপারেশন ফোকাস (Operation Focus): ১৯৬৭ সালের ৫-১০ জুন, স্থান ছিল মিশর, সিরিয়া, জর্ডান ও ইরাকের বিমানঘাঁটি। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি এয়ার ফোর্সের প্রি-এম্পটিভ বোমিংয়ে ৪৫২টি বিমান ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল আকাশীয় আধিপত্য এবং ষষ্ঠ দিবস যুদ্ধে বিজয়। নামকরণের কারণ ছিল কেন্দ্রীভূত আক্রমণের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
২২. অপারেশন ইনফার্নো (Operation Inferno): ১৯৬৮ সালের মার্চ, স্থান ছিল জর্ডানের করামেহ। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি রেইডে পিএলও মিলিট্যান্টদের উপর হামলা এবং ক্যাম্প ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল পিএলও অপারেশন ব্যাহত করা, যদিও কিছু ক্ষতি হয়। নামকরণের কারণ ছিল নরকের আগুনের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ওয়ার অফ অ্যাট্রিশন। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: "তোফেত" (২ রাজাদের ২৩:১০), নরকের আগুনের স্থান।
২৩. অপারেশন গিফট (Operation Gift): ১৯৬৮ সালের ডিসেম্বর, স্থান ছিল বৈরুত এয়ারপোর্ট, লেবানন। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি কমান্ডোর হেইলিকপ্টার রেইডে ১২টি বাণিজ্যিক বিমান ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল পিএলওর সমর্থক লেবাননকে শিক্ষা দেওয়া। নামকরণের কারণ ছিল বিদ্রূপাত্মক (হাইজ্যাকের প্রতিশোধ), ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পিএলও হামলা। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
২৪. অপারেশন বক্সার (Operation Boxer): ১৯৬৯ সাল, স্থান ছিল মিশরের এসএএম সাইট। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি এয়ার ফোর্সের সিরিজ আক্রমণে মিসাইল সাইট ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল মিশরীয় এয়ার ডিফেন্স দুর্বল করা। নামকরণের কারণ ছিল লড়াইয়ের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ওয়ার অফ অ্যাট্রিশন। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
২৫. অপারেশন বুলমুস ৬ (Operation Bulmus 6): ১৯৬৯ সালের জুলাই, স্থান ছিল সুয়েজ উপসাগরের গ্রিন আইল্যান্ড। মূল ঘটনাবলী ছিল স্পেশাল ফোর্স রেইডে মিশরীয় রাডার এবং ফোর্ট্রেস ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল গোয়েন্দা সাইট ধ্বংস এবং তথ্য লাভ। নামকরণের কারণ ছিল গোপন কোড, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ওয়ার অফ অ্যাট্রিশন। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
২৬. অপারেশন রাভিভ (Operation Raviv): ১৯৬৯ সালের অক্টোবর, স্থান ছিল সুয়েজ উপসাগরের মিশরীয় তীর। মূল ঘটনাবলী ছিল আর্মার্ড রেইডে রাডার ইনস্টলেশন ধ্বংস (টেন-আওয়ার ওয়ার)। ইসরায়েলের সফলতা ছিল মিশরীয় রাডার সিস্টেম ব্যাহত। নামকরণের কারণ ছিল বৃষ্টির প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ওয়ার অফ অ্যাট্রিশন। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
২৭. অপারেশন রুস্টার ৫৩ (Operation Rooster 53): ১৯৬৯ সালের জুলাই, স্থান ছিল মিশরীয় রাডার সাইট। মূল ঘটনাবলী ছিল স্পেশাল অপারেশনে পি-১২ রাডার ক্যাপচার। ইসরায়েলের সফলতা ছিল গোয়েন্দা তথ্য লাভ। নামকরণের কারণ ছিল কোড নাম, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ওয়ার অফ অ্যাট্রিশন। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
২৮. অপারেশন প্রিহা (Operation Priha): ১৯৭০ সাল, স্থান ছিল মিশরের অভ্যন্তরীণ সামরিক টার্গেট। মূল ঘটনাবলী ছিল সিরিজ স্ট্রাইকে মিলিটারি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল মিশরীয় ক্ষমতা দুর্বল করা। নামকরণের কারণ ছিল ফুল ফোটার প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ওয়ার অফ অ্যাট্রিশন। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
২৯. অপারেশন র‍্যাথ অফ গড (Operation Wrath of God): ১৯৭২-১৯৭৯ সাল, স্থান ছিল ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের পিএলও ঘাঁটি। মূল ঘটনাবলী ছিল মসাদের গোপন হত্যাকাণ্ডে মিউনিখ গণহত্যার দায়ীদের লক্ষ্যবস্তু। ইসরায়েলের সফলতা ছিল ১১ জনের মধ্যে ১০ জনকে নির্মূল করা। নামকরণের কারণ ছিল ঈশ্বরের ক্রোধের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মিউনিখ ১৯৭২। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: নির্গমন ১২:১২, ঈশ্বরের ক্রোধের কাহিনী।
৩০. অপারেশন স্প্রিং অফ ইয়ুথ (Operation Spring of Youth): ১৯৭৩ সালের এপ্রিল, স্থান ছিল বৈরুত, লেবানন। মূল ঘটনাবলী ছিল কমান্ডো রেইডে পিএলও নেতাদের হত্যা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল ৩ জন নেতা নিহত করে প্রতিশোধ নেওয়া। নামকরণের কারণ ছিল যৌবনের উৎসের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মিউনিখ প্রতিশোধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৩১. অপারেশন এনটেব্বে (Operation Entebbe): ১৯৭৬ সালের জুলাই, স্থান ছিল উগান্ডার এনটেব্বে এয়ারপোর্ট। মূল ঘটনাবলী ছিল কমান্ডো রেসকিউতে ১০৫ জন হোস্টেজ মুক্তি এবং হাইজ্যাকারদের হত্যা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল প্রায় সকল হোস্টেজ রক্ষা (৩ জন নিহত)। নামকরণের কারণ ছিল স্থানের নাম, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এয়ার ফ্রান্স হাইজ্যাক। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৩২. অপারেশন লিটানি (Operation Litani): ১৯৭৮ সালের মার্চ, স্থান ছিল দক্ষিণ লেবানন। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি ইনভেশনে পিএলও বিতাড়ন এবং লিটানি নদী অতিক্রম। ইসরায়েলের সফলতা ছিল পিএলওকে ১০ কিমি পিছু হটানো। নামকরণের কারণ ছিল নদীর নাম, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে কোস্টাল রোড ম্যাসাকর প্রতিক্রিয়া। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: লিটানি নদী (যিহোশূয় ১৩:৫), যা সীমান্তের অর্থ বহন করে।
৩৩. অপারেশন পিস ফর গ্যালিলি (Operation Peace for Galilee): ১৯৮২ সাল, স্থান ছিল লেবানন (বাইরুত পর্যন্ত)। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েলি ইনভেশনে পিএলও বিতাড়ন এবং সাবরা-শাতিলা গণহত্যা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল পিএলওকে লেবানন থেকে বহিষ্কার, যদিও দীর্ঘমেয়াদী ব্যর্থতা। নামকরণের কারণ ছিল গ্যালিলির শান্তির প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রকেট হামলা। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: গ্যালিলি (যিহোশূয় ২০:৭), ইহুদি উত্তরাঞ্চলের অর্থ।
৩৪. অপারেশন জাস্ট রিওয়ার্ড (Operation Just Reward): ২০০৬ সালের জুলাই-আগস্ট, স্থান ছিল লেবানন (বেকা ভ্যালি)। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহর রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিমান ও স্থল অভিযান। ইসরায়েলের সফলতা ছিল হিজবুল্লাহর ইনফ্রাস্ট্রাকচার ক্ষতি, যদিও যুদ্ধ বিতর্কিত। নামকরণের কারণ ছিল প্রতিশোধের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেবানন যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৩৫. অপারেশন শার্প অ্যান্ড স্মুথ (Operation Sharp and Smooth): ২০০৬ সাল, স্থান ছিল লেবাননের বেকা ভ্যালি। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহ হাসপাতালে বিমান হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল লজিস্টিক সাইট ধ্বংস। নামকরণের কারণ ছিল কৌশলের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেবানন যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৩৬. টায়ার রেইড (Tyre Raid): ২০০৬ সাল, স্থান ছিল লেবাননের টায়ার শহর। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহ সেলে কমান্ডো হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল সেল ধ্বংস। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেবানন যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: টায়ার (যিহোশূয় ১৯:২৯), ফিনিশিয়ান শহরের কাহিনী।
৩৭. অপারেশন চেঞ্জিং ডিরেকশন ১১ (Operation Changing Direction 11): ২০০৬ সালের আগস্ট, স্থান ছিল দক্ষিণ লেবানন। মূল ঘটনাবলী ছিল লেবানন যুদ্ধের চূড়ান্ত অফেনসিভে হিজবুল্লাহ পজিশন ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল যুদ্ধবিরতির আগে অগ্রগতি। নামকরণের কারণ ছিল কৌশল পরিবর্তন, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের সমাপ্তি। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৩৮. অপারেশন কাস্ট লিড (Operation Cast Lead): ২০০৮-২০০৯ সালের ডিসেম্বর-জানুয়ারি, স্থান ছিল গাজা স্ট্রিপ। মূল ঘটনাবলী ছিল বিমান ও স্থল আক্রমণে হামাস টানেল ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল রকেট হামলা কমানো এবং হামাস দুর্বল করা। নামকরণের কারণ ছিল ধাতু গলানোর প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রকেট হামলা। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৩৯. অপারেশন পিলার অফ ডিফেন্স (Operation Pillar of Defense): ২০১২ সালের নভেম্বর, স্থান ছিল গাজা। মূল ঘটনাবলী ছিল বিমান অপারেশনে হামাস নেতাদের টার্গেটেড কিলিং। ইসরায়েলের সফলতা ছিল রকেট হামলা স্থগিত করা। নামকরণের কারণ ছিল প্রতিরক্ষার স্তম্ভ, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রকেট সংকট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: নির্গমন ১৩:২১, মেঘের স্তম্ভ যা ইহুদিদের নিরাপত্তা দেয়।
৪০. অপারেশন প্রটেকটিভ এজ (Operation Protective Edge): ২০১৪ সালের জুলাই-আগস্ট, স্থান ছিল গাজা। মূল ঘটনাবলী ছিল বিমান ও স্থল অভিযানে সুড়ঙ্গ ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল ৩২টি সুড়ঙ্গ ধ্বংস এবং রকেট রোধ। নামকরণের কারণ ছিল প্রতিরক্ষার প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রকেট যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪১. জামরায়া এয়ারস্ট্রাইক (Jamraya Airstrike): ২০১৩ সালের জানুয়ারি, স্থান ছিল সিরিয়ার জামরায়া। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহ অস্ত্র কনভয়ে বিমান হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল অস্ত্র স্থানান্তর রোধ। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান সিভিল ওয়ার। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪২. এয়ারস্ট্রাইকস অন সিরিয়া (Airstrikes on Syria): ২০১৩ সাল, স্থান ছিল সিরিয়া। মূল ঘটনাবলী ছিল ইরানি অস্ত্র কনভয়ে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহ রোধ। নামকরণের কারণ ছিল সাধারণ, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪৩. লাতাকিয়া এক্সপ্লোশন (Latakia Explosion): ২০১৩ সালের জুলাই, স্থান ছিল সিরিয়ার লাতাকিয়া। মূল ঘটনাবলী ছিল ইয়াখন্ট মিসাইল ডিপোতে বিস্ফোরণ। ইসরায়েলের সফলতা ছিল মিসাইল স্টক ধ্বংস। নামকরণের কারণ ছিল ঘটনাভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান কনফ্লিক্ট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪৪. স্নাওবার এয়ারস্ট্রাইক (Snawbar Airstrike): ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর, স্থান ছিল সিরিয়ার স্নাওবার। মূল ঘটনাবলী ছিল এয়ার ডিফেন্স সাইটে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল সিরিয়ান এয়ার ডিফেন্স দুর্বল করা। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪৫. লাতাকিয়া অ্যাটাক (Latakia Attack): ২০১৪ সালের জানুয়ারি, স্থান ছিল সিরিয়ার লাতাকিয়া। মূল ঘটনাবলী ছিল এস-৩০০ মিসাইল ওয়্যারহাউসে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল অ্যাডভান্সড অস্ত্র রোধ। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান কনফ্লিক্ট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪৬. বেকা ভ্যালি এয়ারস্ট্রাইক (Beqaa Valley Airstrike): ২০১৪ সালের এপ্রিল, স্থান ছিল লেবাননের বেকা ভ্যালি। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহ মিসাইল বেসে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল অস্ত্র ক্যাশ ধ্বংস। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে হিজবুল্লাহ হুমকি। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪৭. রিফ দিমাশক এয়ারস্ট্রাইকস (Rif Dimashq Airstrikes): ২০১৪ সালের জুন, স্থান ছিল সিরিয়ার রিফ দিমাশক। মূল ঘটনাবলী ছিল এস-৩০০ কনভয়ে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল মিসাইল স্থানান্তর রোধ। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪৮. মাজরাত আমাল এয়ারস্ট্রাইক (Mazraat Amal Airstrike): ২০১৫ সালের জানুয়ারি, স্থান ছিল সিরিয়ার কুনেইতরা। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহ ও ইরানি অপারেটিভে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল ৬ জন নিহত করে হুমকি কমানো। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান কনফ্লিক্ট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৪৯. কালামুন এয়ারস্ট্রাইক (Qalamoun Airstrike): ২০১৫ সালের জুন, স্থান ছিল সিরিয়ার কালামুন। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহ ক্যাম্প ও কনভয়ে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল অস্ত্র সরবরাহ রোধ। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫০. বেকা ভ্যালি এয়ারস্ট্রাইক (Bekaa Valley Airstrike 2): ২০১৫ সালের আগস্ট, স্থান ছিল লেবাননের পশ্চিম বেকা। মূল ঘটনাবলী ছিল টার্গেটেড হামলায় হিজবুল্লাহ সাইট ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল মিসাইল ক্যাশ ধ্বংস। নামকরণের কারণ ছিল স্থানভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে হিজবুল্লাহ হুমকি। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫১. অগাস্ট ২০১৫ সিরিয়া এয়ারস্ট্রাইকস (August 2015 Syria Airstrikes): ২০১৫ সালের আগস্ট, স্থান ছিল গোলান হাইটসের কাছে সিরিয়া। মূল ঘটনাবলী ছিল রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ান টার্গেটে বিমান হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল হুমকি রোধ। নামকরণের কারণ ছিল তারিখভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান কনফ্লিক্ট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫২. নভেম্বর ২০১৫ ইসরায়েলি এয়ারস্ট্রাইক (November 2015 Israeli Airstrike): ২০১৫ সালের নভেম্বর, স্থান ছিল দামাস্কাস এয়ারপোর্টের কাছে সিরিয়া। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহ ওয়্যারহাউসে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল অস্ত্র ধ্বংস। নামকরণের কারণ ছিল তারিখভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫৩. নভেম্বর ২০১৬ ইসরায়েলি এয়ারস্ট্রাইক (November 2016 Israeli Airstrike): ২০১৬ সালের নভেম্বর, স্থান ছিল সিরিয়ার সামরিক কম্পাউন্ড। মূল ঘটনাবলী ছিল কনভয় ও কম্পাউন্ডে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল ইরানি সাপ্লাই রোধ। নামকরণের কারণ ছিল তারিখভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান কনফ্লিক্ট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫৪. ডিসেম্বর ২০১৬ ইসরায়েলি এয়ারস্ট্রাইক (December 2016 Israeli Airstrike): ২০১৬ সালের ডিসেম্বর, স্থান ছিল মেজ্জেহ এয়ারবেস, সিরিয়া। মূল ঘটনাবলী ছিল রাসায়নিক অস্ত্র কনভয়ে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল রাসায়নিক হুমকি দূরীকরণ। নামকরণের কারণ ছিল তারিখভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান যুদ্ধ। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫৫. জানুয়ারি ২০১৭ ইসরায়েলি এয়ারস্ট্রাইক (January 2017 Israeli Airstrike): ২০১৭ সালের জানুয়ারি, স্থান ছিল মেজ্জেহ এয়ারবেস, সিরিয়া। মূল ঘটনাবলী ছিল অ্যামুনিশন ডিপোতে হামলা। ইসরায়েলের সফলতা ছিল সাপ্লাই লাইন ব্যাহত। নামকরণের কারণ ছিল তারিখভিত্তিক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান কনফ্লিক্ট। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫৬. অপারেশন আইরন সোর্ডস (Operation Iron Swords): ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান, স্থান ছিল গাজা স্ট্রিপ। মূল ঘটনাবলী ছিল হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিমান বোমা, স্থল ইনভেশন এবং রাফাহ অফেনসিভ; ২০২৫-এ গাজা সিটি দখল (গিডিয়নস চ্যারিয়টস II)। ইসরায়েলের সফলতা ছিল হামাসের ৮০% ক্ষমতা ধ্বংস, হোস্টেজ রেসকিউ এবং গাজা নিয়ন্ত্রণ। নামকরণের কারণ ছিল লোহার তলোয়ারের প্রতীক (যুদ্ধের দৃঢ়তা), ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ৭ অক্টোবর হামলা। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫৭. অপারেশন নর্দার্ন অ্যারোজ (Operation Northern Arrows): ২০২৩-২০২৪ সাল, স্থান ছিল লেবাননের উত্তর সীমান্ত। মূল ঘটনাবলী ছিল হিজবুল্লাহর রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিমান ও স্থল অপারেশন। ইসরায়েলের সফলতা ছিল হিজবুল্লাহ দুর্বল করে সীমান্ত নিরাপত্তা। নামকরণের কারণ ছিল উত্তরের তীরের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে গাজা যুদ্ধের সমান্তরাল। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া নয়।
৫৮. অপারেশন অ্যারো অফ বাশান (Operation Arrow of Bashan): ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে চলমান, স্থান ছিল সিরিয়া (গোলান হাইটস, লাতাকিয়া, হোমস)। মূল ঘটনাবলী ছিল আসাদ রেজিমের পতনের পর বিমান, নৌ ও স্থল অভিযানে সিরিয়ান আর্মির ৮০% ক্ষমতা ধ্বংস (জেট, ট্যাঙ্ক, কেমিক্যাল ওয়েপন) এবং বাফার জোন স্থাপন। ইসরায়েলের সফলতা ছিল সিরিয়ান হুমকি নির্মূল এবং গোলান নিরাপত্তা। নামকরণের কারণ ছিল বিজয়ের তীরের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আসাদের পতন। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: বাশান (গণনা ২১:৩৩), যেখানে ইহুদিরা ওগ রাজাকে পরাজিত করে ভূমি দখল করে, বিজয়ের অর্থ।
৫৯. অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion): ২০২৫ সালের জুন (১৩ জুন থেকে চলমান), স্থান ছিল ইরান (নিউক্লিয়ার সাইট, মিলিটারি ইনস্টলেশন, টেহরান)। মূল ঘটনাবলী ছিল ইসরায়েল-ইউএস যৌথ অপারেশনে নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটি বোমা, ইরানি অফিসারদের বাড়ি আক্রমণ এবং ৫২৫টি মিসাইল ইন্টারসেপ্ট; ইরানি ড্রোন ৯৯% ধ্বংস। ইসরায়েলের সফলতা ছিল ইরানের মিসাইল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ধ্বংস এবং কী পার্সোনেল নির্মূল। নামকরণের কারণ ছিল শক্তির উত্থানের প্রতীক, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের চূড়ান্ত পর্যায়। নামটি তাওরাত থেকে নেওয়া: গণনা ২৩:২৪-এ বালামের ভবিষ্যদ্বাণী ("লায়ন উঠিয়া..."), যা ইসরায়েলের শক্তি ও অপরাজেয়তার অর্থ বহন করে।

আইডিএফের অপারেশনগুলোর নামকরণে তাওরাত থেকে গৃহীত ধর্মীয় প্রতীকবাদ কেবল কৌশলগত কোড নয়, এটি ইসরায়েলের সামরিক ও জাতীয় চেতনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নাখশনের সাহস, হোরেভের পবিত্রতা বা বাশানের বিজয়ের মতো নামগুলো সৈন্যদের মধ্যে ধর্মীয় উদ্দীপনা ও ঐতিহাসিক গর্ব জাগায়, যা তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রেরণা যোগায়। এই ধর্মীয় সংযোগ ইসরায়েলের সামরিক সাফল্য এবং জনগণের ঐক্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তবে এটি একই সঙ্গে আঞ্চলিক বিতর্ক ও সংঘাতের জটিলতা বাড়ায়। আইডিএফের এই ধর্মীয়-প্রতীকী নামকরণ ইসরায়েলের জাতীয় পরিচয়ের গভীর শিকড় এবং তাদের সামরিক কৌশলের অনন্য বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করে, যা বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইসলামী ঐতিহ্য এবং ইতিহাস অনুসারে, নবী ইয়াকুব (আঃ)-এর জন্মের সঠিক সময়কাল নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ এটি প্রাচীন ইতিহাসের অংশ। তবে, বাইবেল ও ইসলামী সূত্রের ভিত্তিতে, তাঁর জীবনকাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০-১৭০০ অব্দের মধ্যে ধরা হয়। ইয়াকুব (আঃ) নবী ইসহাক (আঃ)-এর পুত্র এবং নবী ইবরাহিম (আঃ)-এর পৌত্র ছিলেন। তাঁর জীবনকাল সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ নেই, তবে তিনি কানান (বর্তমান ফিলিস্তিন/ইসরায়েল অঞ্চল) ও মিশরে জীবনযাপন করেছিলেন। কুরআনে তাঁর নাম "ইয়াকু

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ